রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারির কবলে এবার জুরাছড়ি

167

॥ আলমগীর মানিক ॥

দুইটি প্রধান রাজনৈতিকদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী একই সময়ে একই স্থানে পালনের ঘোষণাকে কেন্দ্র রাঙামাটিতে ধারাবাহিকভাবে ১৪৪ ধারা চলছে। সর্বশেষ ১৪৪ জারির কবলে পড়ে দুর্গম জুরাছড়ি। বুধবার (৩১শে আগষ্ট) এই উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা বলবতের পর জনজীবন ছিল শান্ত। চলতি সপ্তাহের রোববারে সোমবার লংগদু, মঙ্গলবার জেলা সদরের ভেদভেদীতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির জেরে ১৪৪ ধারা জারি করে আদিষ্ট এলাকায় সকল ধরণের সভা, সমাবেশ ও জমায়েত নিষিদ্ধ করে।

বুধবার জুরাছড়ি উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জীতেন্দ্র কুমার নাথ। মঙ্গলবার বিকেল চারটার সময় এই ঘোষনাদেশ পত্র জারি করা হয়। জুরাছড়ির ইউএনও জীতেন্দ্র কুমার নাথ জানান, জনজীবনের অসুবিধা ও স্বাভাবিক শান্তি শৃঙ্খলা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই আদেশের মাধ্যমে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জুরাছড়ি উপজেলা সদরে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আদেশপত্রে বলা হয়, যেহেতু আগামী ৩১/০৮/২০২২ খ্রিঃ তারিখে জুরাছড়ি উপজেলার যক্ষাবাজার স্থানে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জুরাছড়ি উপজেলার বিএনপি উদ্যোগে সমাবেশ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন এবং অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এর উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ একই স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করার সংবাদ পাওয়া গেছে। সেহেতু প্রতীয়মান হচ্ছে যে, একই তারিখে ও সময়ে বাংলাদেশের দুইটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের আহুত কর্মসূচীর কারণে জনজীবনের অসুবিধা ও উপজেলার স্বাভাবিক শান্তি শৃঙ্খলা বিঘিœত হওয়ার আশংকা রয়েছে। অথচ জনস্বার্থে জুরাছড়ি উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখা অপরিহার্য।

সেহেতু আমি জীতেন্দ্র কুমার নাথ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জুরাছড়ি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ৩১/০৮/২০২২ খ্রিঃ তারিখ সকাল ৬.০০ ঘটিকা হতে সন্ধ্যা ৬.০০ ঘটিকা পর্যন্ত জুরাছড়ি উপজেলার যক্ষাবাজার হতে হাসপাতাল এলাকা ও সংলগ্ন এলাকায় সকল প্রকার সভা সমাবেশ, মিটিং মিছিল, লোক সমাগম এবং চার বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে চলাচল ও আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী সকল অবৈধ কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অত্র উল্লিখিত স্থানে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারী করলাম। এ আদেশ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি, জরুরী সেবা, স্বাভাবিক কাজে নিয়োজিত এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের জন্য প্রযোজ্য হবে না।