ঢাকা ব্যুরো অফিস, ২ জানুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. আতাউল করিম। ট্রেনটি ভূমিতে স্পর্শ করবে না। আকর্ষণীয় গঠনশৈলীর এই ট্রেনটি পৃথিবীজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে। বিভিন্ন দেশ ট্রেনটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের চিন্তা ভাবনা করছে।
জানা যায়, আতাউল করিম ২০০৪ সালে ভাসমান ট্রেনের প্রকল্প হাতে নেন। দেড় বছরের মাথায় ট্রেনটির প্রোটোটাইপ তৈরি করেন। আতাউল করিমের আবিষ্কৃত ট্রেনটি বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো খুঁত খুঁজে পাননি। ফলে এটা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ট্রেনটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটা চলার সময় ভূমি স্পর্শ করবে না। ট্রেনটি চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাবলীলভাবে চলবে, গতি অনেক বেশি হবে, অনেকটা বুলেট ট্রেনের মত। জার্মানি, চীন ও জাপানে ১৫০ মাইলের বেশি গতির ট্রেনে প্রতিমাইল ট্র্যাক বসানোর জন্য গড়ে খরচ পড়ে ১১ কোটি ডলার। কিন্তু আতাউল করিমের ভাসমান ট্রেনে খরচ হবে মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ডলার।
প্রসঙ্গত, ড. আতাউল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এমএস, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএস এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮, ১৯৭৯ এবং ১৯৮১ সালে তিনি এ ডিগ্রী অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে আতাউল করিম অত্যন্ত সফল। বর্তমানে তিনি বিশ্বের মেধাসম্পন্ন ৫ হাজার ছাত্র ও গবেষকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্তত ৬০০টি অনুষদে। ড. করিমের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে ৬টি কলেজ, ২০টি গবেষণাকেন্দ্র, ৬শ’ শিক্ষক এবং ৫ হাজারের বেশি গ্র্যাজুয়েট ও আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান। সূত্র- অন্য মিডিয়া, ১ জানুয়ারি ২০১৬