॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
‘মঙ্গল শোভাযাত্রাকে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার’ বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। নববর্ষের সকালে এবারের বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার। এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে রাঙামাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তেন গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বর্ণিল সাজে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিভিন্ন পোশাকে সজ্জিত হয়। যেমন খুশী তেমন সাজে অংশ গ্রহণ করেন অসংখ্য ছেলে-মেয়ে। শোভাযাত্রায় হাতি ঘোড়া, প্যাঁচাসহ বিভিন্ন জাতীয় পাখি স্থান পায়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর উৎসব ও বাংলা নববর্ষ আমরা সকলেই এক সাথে পালন করে থাকি। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে আমাদের প্রাণের উৎসব আরো সুদৃঢ় হবে।’
পাহাড়ের প্রাণের উৎসব নির্বিগ্নে পালনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখার চেষ্টার কথা জানিয়ে রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৈাহিদ বলেন, ‘পাহাড়ের দীর্ঘ এই উৎসব আমাদের আরো এক সাথে করবে এবং সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করবে।’
শোভাযাত্রা শেষে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এসো হে বৈশাখ গানের তালে তালে শুরু হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ীদের এইচ্যা বিজু বিজু বিজু গানের তালে তালে নৃত্য নৃত্য যেন আগত দর্শদের মাতিয়ে তোলে।