ঢলে জুরাছড়ির মাছ চাষীদের মাথায় হাত ॥ চাষের মাছ কাপ্তাই হ্রদে

211

॥ জুরাছড়ি প্রতিনিধি ॥

সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে মাথায় হাত পড়েছে জুরাছড়ি দরীদ্র মাছ চাষীদের। ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে জুরাছড়ি উপজেলার অধিকাংশ পুকুর। মৎস্যচাষীদের ক্ষতি হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। দিশেহারা চাষিরা বলছে, ঋণ নিয়ে লগ্নি করা টাকা জলে যাওয়ায় এখন তাদের পথে বসার জোগাড়।

জুরাছড়ি উপজেলার একশ’ জনের অধিক মৎস্য ও রেনু চাষী রয়েছেন। তার মধ্যে বেশ বড় আকারে মৎস্য এবং রেনু চাষ করেন মংসিং রাখাইন, স্বপন চাকমা, এলটন চাকমা। তাদের নিজস্ব পুকুরসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে রেনু চাষ করে আসছিলেন। এবার অতি মাত্রায় বৃষ্টি হওয়াতে সমস্ত পুকুরের বাঁধ ভেঙে যায়। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মংসিং রাখাইন বলেন, আমার কয়েকটি পুকুরের বাঁধ ভেঙে ৫২ হাজারের অধিক রেনু কাপ্তাই হ্রদে তলিয়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আরো একজন চাষী স্বপন চাকমা থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, এছর তিনি পুঁজি দিয়েছেন ৫ লাখ টাকা কিন্তু বন্যার পানিতে এক লাখের বেশী রেনু এখন কাপ্তাই হ্রদে । লক্ষ লক্ষ টাকা পুঁজি দিয়ে এখন পথে বসতে হচ্ছে। সরকার যদি ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দে তাহলে এসব পুঁজি ভবিষ্যতে উঠিয়ে আনা সম্ভবহীন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি চাকমা জানান, ইতিমধ্যে জুরাছড়ি উপজেলার মৎস্য চাষী এবং রেনু চাষীদের ক্ষয় – ক্ষতির তালিকা মৎস্য বিভাগের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার উপড়ে ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি প্রতিবেদকে জানান।

দুমদুম্যা ইউনিয়নে মহিলা মেম্বার বকুল বালা চাকমা তিনি একজন মৎস্য চাষী দুই বছর খানিক আগে নিজস্ব টাকা খরচ করে একটি পুকুর খনন করেছিলেন, কিন্তু এবারে বন্যায় তলিয়ে গেছে। তার স্বপ্ন ছিল সেখানকার মানুষের জন্য কিছুতা হলেও আমিষের চাহিদা মেটাতে পারবে। ৩ নং মৈদং ইউনিয়নে মোঘাছড়ি গ্রামের বাসিন্দা হরিস চন্দ্র চাকমার পুকুরে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ১০ কেজি পর্যন্ত তার পুকুরে মাছ ছিল। বিগত ২০১৭ সালে ও তার পুকুর তেমন ক্ষতি হয়নি, কিন্ত এবার ভারী বন্যার কারণে বাঁধ ভেঙে চলে যায়। তাই তিনিও সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন যেন তার বাঁধতি নতুন ভাবে করে দেওয়া হয়।