পার্বত্যাঞ্চলকে সমৃদ্ধ করতে কৃষি ও পর্যটন শিল্পের উপর জোর দিতে হবে: পার্বত্য মন্ত্রী

152

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

পার্বত্যাঞ্চলকে সমৃদ্ধ করার জন্য কৃষি ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি বলেন, পাহাড়ের এই দু’টি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলকে দেশের সমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই লক্ষে কাজ করছেন।

কৃষকরাই দেশের অর্থনীতি বাঁচিয়ে রেখেছে বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, সে কারণেই কৃষকদের সকল পর্যায়ে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। এ সময় তিনি রাঙামাটি জেলার জেলার ১০ উপজেলাধীন ৩২০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতিসহ পাওয়ার ট্রিলার বিতরণ করেন।

সোমবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটিতে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানে পার্বত্য মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। রাঙামাটি জেলা পরিষদের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সরঞ্জাম বিতরণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য মন্ত্রণালয় ও এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি প্রকল্পের আওতায় এই কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা। রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন হারুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো উদ্যোগের কারণে কৃষিতে উন্নয়ন হচ্ছে। আধুনিক মেশিনারিজ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। জমিতে সারা বছর চাষাবাদ হচ্ছে। বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে গাভি বিতরণ করা হয়েছে, সাড়ে ৪৪ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে সোলার বিতরণ করা হয়েছে।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে পাহাড়ের উৎপাদন বহুগুন বেড়ে গেছে। পাহাড়ের জমিগুলোতে সারাবছর চাষ হচ্ছে, এতে কৃষকদের সক্ষমতা বাড়ছে। তিনি বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আর দেশের বোঝা নয়, বরং দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে পাহাড় দেশের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। তিনি পার্বত্য জেলাগুলোয় কৃষিপণ্য সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপনের গুরুত্ব রয়েছে বলেও উল্লখ করেন।