চুক্তির ২৬ বছর পুর্তিতে লংগদু সেনা জোনের শান্তি র‍্যালী

109

॥ ওমর ফারুক মুছা ॥

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটির লংগদু সেনা জোন (তেজস্বী বীর) এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, শান্তি সমাবেশ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ঔষধ বিতরণ এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা সদরে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে এসে শান্তি সমাবেশে মিলিত হয়। শান্তি সমাবেশে লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লংগদু জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল হিমেল মিয়া পিএসসি।

বক্তব্যে কর্নেল হিমেল মিয়া বলেন, শান্তি চুক্তির মাধ্যমেই পাহাড়ে আমরা সকল সম্প্রদায়ের লোকজন বৈষম্য ভেদাভেদ না রেখে দেশ মৃত্তিকার টানে কাঁধে কাঁধ রেখে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। পাহাড়ে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সচেষ্ট। তিনি বলেন, আমরা যদি এলাকায় মিলেমিশে বসবাস করি তাহলে লংগদু হবে অন্যতম মডেল উপজেলা। এখানকার মৎস, কৃষি, জলবায়ু সহ যেসব ক্ষেত্র উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে, তা যথাযথ কাজে লাগাতে পারলে ব্যাপক উন্নয়নে অগ্রগতি হবে।

লংগদু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. সেলিম, লংগদু সদর ইউপি চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা বলি প্রমুখ।
এসময় লংগদু প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মো. এখলাছ মিঞা খান শন্তি চুক্তি নিয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। এছাড়াও জোন উপ অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান, ৩৮ আনসার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মীরবহর শাহাদাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন,৩৮ ব্যাটালিয়নের সিএ কো-কোম্পানী কমান্ডার মো. আরিফুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, মাইনীমূখ ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল, কালাপাকুজ্জ্যা ইউপি চেয়ারম্যান বারেক দেওয়ান, আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান অজয় চাকমা মিত্রসহ সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি ঘিরে লংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা, ঔষধ বিতরণ এবং লংগদু বিদ্যানিকেতনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জোন অধিনায়ক হিমেল মিয়া এ পুরস্কার বিতরণ করেন। মাইনী খালে বিকাল ৩টায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় জোন সদরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।