নুরুল কবির বান্দরবান থেকে
বান্দরবানের রুমা উপজেলার রুমা খালের বিভিন্ন স্থানে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। তিনটি স্পটে বালু তোলায় হুমকির মুখে পড়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকা। জড়িতরা বলছে সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করছে আর প্রশাসন বলছে বালু তোলার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুনলাইপাড়া ঘাট, রুমারচর ঘাট ও পলিকা পাড়া ঘাট সংলগ্ন স্থানে গত কিছুদিন ধরে বালু উত্তোলন করছে ১০সদস্যের তিনটি সিন্ডিকেট। এরা হলেন, জুয়েল দাশ, দস্তগীর ও মিল্টন, হাসান মুরাদ, বক্কর মেম্বার, শাকিল, শাহজাহান ও প্রজলাল চক্রবর্তী, অংছো মার্মা। তারা সবাই স্থানীয় আওয়ামী ও অঙ্গ সংগনের সঙ্গে জড়িত থাকায় এলাকাবাসী প্রকাশ্যে তাদের কখনো বাঁধা দিতে সাহস পান না।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ১০হাজার ঘনফুট হারে রুমা খাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ইউপি মেম্বার জানান, প্রতিদিন প্রতি মেশিন থেকে ৫হাজার টাকা প্রদান করে তারা কাজ করে থাকেন। প্রশাসন অভিযান চালায় একদিন, কিন্তু সেই অভিযান বালু ব্যবসায়ীদের জন্য আর্শিবাদ হয়। কারণ একদিনের অভিযানের অজুহাতে তারা বহুদিন বালু তোলার সুযোগ পান। অবৈধ বালু তোলা হলেও প্রশাসন কেন বালু মহাল ইজারা দিচ্ছে না প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বালু তোলার কাজে সম্পৃক্ত বক্কর মেম্বার ও হাসান মুরাদ ও অংছো জানান, বালু উত্তোলনে তাদের কোন প্রশাসনিক অনুমতি নেই। সবার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কাজ করছেন। তবে প্রকাশ্যে বালু তোলা হলেও জানেন না পরিবেশ অধিদপ্তর। এই প্রসঙ্গে রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, রুমা খাল থেকে বালু উত্তোলন করতে সরকারিভাবে কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর সম্প্রতি সহকারী কমিশনার (ভুমি) ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান অভিযানে জরিমানা করা হলেও পরে তারা আবারো কাজ করেন। তাই পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিত মামলা করলে বালু উত্তোলন বন্ধ করা সহজ হবে। এখন নির্বাচনী নানা ব্যস্ততায় সুযোগ নিচ্ছেন তারা। তবে আমাদের কাজ আমরা করে যাবো।
এদিকে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দীন চৌধুরী বলেন- আমরা বালি উত্তোলনের বিষয় খবর পেয়েছি এ সপ্তাহের আমরা অভিযানে যাবো যদি সঠিক প্রমান পেলে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করা হবে।