লামা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সকল সদস্যের অনাস্থা

71

॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নুর হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন ইউপি সদস্য। বুধবার (১৭ এপ্রিল) লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে তারা অনাস্থাপত্র জমা দেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে বিভিন্ন প্রকল্প ও অর্থ আত্মসাত করে আসছে তিনি। একাধিকবার আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের থেকে বিভিন্ন সময়ে অলিখিত কাগজে স্বাক্ষর করে নিতেন। তার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র ব্যবহার করে সরকারী বরাদ্ধকৃত প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য কুতুব উদ্দিন, আব্দুর রহিম ও হেলাল উদ্দিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্তা দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বিভিন্ন সময়ে সরকারীভাবে বরাদ্ধকৃত আনুমানিক ২৫০ মেঃ টন চাউল ও গম বরাদ্ধের অনুকূলে কোন প্রকার প্রকল্পের কাজ না করে চেয়ারম্যান সম্পূর্ণভাবে আত্মত্মসাৎ করেছেন।

চেয়ারম্যানর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করলেও কোনরূপ কর্ণপাত করেনা। তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে ইউনিয়ন পরিষদ হইতে ইউপি সদস্য হিসাবে আমরা মেম্বারের বিভিন্ন প্রকার ভাতা ও বোনাসের টাকা প্রদান না করে উক্ত ভাতা ও বোনাসের যাবতীয় টাকা চেয়ারম্যান নিজে আত্মসাৎ করেছেন।

তাছাড়াও চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে মাসিক সভা ও অন্যান্য সভা আহবান না করে আমাদের নিকট থেকে প্রভাব বিস্তারের করে অলিখিত কাগজে ও সভার কার্যবিবরণী বইয়ে স্বাক্ষর নিয়ে নেন।

অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুর হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। কেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে, তাও জানি না।

জানতে চাইলে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’