॥ মোঃ নূর হোসেন মামুন ॥ ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (বিএসপিআই) প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘স্কিল কম্পিটিশন ২০১৬’ অনুষ্ঠিত হয়।
স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের (এসটিইপি) সহযোগীতায় উৎসব মূখর পরিবেশে এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন কিছু তৈরীর চিন্তাধারাকে বাস্তবতায় প্রকাশ করাই এই প্রতিযোগীতার মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যেমে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিভা বিকাশ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আবিষ্কারের আগ্রহ সৃষ্টি করা হয়।
অনুষ্ঠান ঘিরে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু তৈরী করার চেষ্টায় দিনভর ব্যস্ত সময় পার করে। প্রতিযোগীতা সামনে রেখে এমন চিত্র দেখা গেছে ক্যাম্পাস ঘুরে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিভা ও বিজ্ঞানিক চিন্তাধারা বিকাশ করার এটি একটি বড় মাধ্যম। অনুষ্ঠানের বক্তব্যে অতিথিরা বলেন, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আগ্রহশীল থাকলে সকল প্রতিভা তাদের চিন্তাধারাকে বাস্তবতায় রূপদান করতে পারবে।
রোববার সকালে বিএসপিআইতে আয়োজিত স্কিল কম্পিটিশন কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘এসটিইপি’র প্রোগ্রাম অফিসার এইচএম কবির হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে মেকানিক্যাল ডিপার্টেমেন্টের চীফ ইন্সট্রাক্টর মাহাবুব উল আলম, ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টেমেন্টের চীফ ইন্সট্রাক্টর মোঃ খোরশেদ আলম, অটো-মোবাইল ডিপার্টেমেন্টের চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রদীপ কুমার তালুকদার, কম্পিউটার ডিপার্টেমেন্টের চীফ ইন্সট্রাক্টর আবুল কালাম আজাদ, নন-টেক ডিপার্টেমেন্টের চীফ ইন্সট্রাক্টর পলাশ কান্তি বড়–য়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নন-টেক ডিপার্টেমেন্টের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর মাইনুল এইচ সিরাজী।
অনুষ্ঠানের প্রথমে জাতীয় সংগীত, র্যালী, প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও পুরস্কার এবং সনদপত্র বিতরণ করা হয়। বিএসপিআই রোভার স্কাউটের সহায়তায় আয়োজিত র্যালীটি কলেজ ক্যাম্পাস প্রাঙ্গন এবং কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক প্রদর্শন করে আবার কলেজ প্রাঙ্গনে এসেই শেষ হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকল বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজ নিজ প্রকল্প উপস্থাপন করে। শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন নতুন চিন্তাধারা ও আবিস্কারকে বাস্তবতায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা চালায়। আকর্ষণীয় আবিষ্কারের মাঝে বিচারকদের চোখে ১ম স্থান অর্জন করে সিভিল উড ডির্পাটমেন্ট। ২য় স্থান অধিকার করে কম্পিউটার ডির্পাটমেন্ট এবং ৩য় স্থান অধিকার করে কন্সট্রাকশন ডিপার্টমেন্ট।
এবিষয়ে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ পাটোয়ারীর বলেন, এমন কম্পিটিশন আসলেই শিক্ষার্থীদের লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে ফুটিয়ে তোলে। তাদের চিন্তাধারা যদি ফুটে উঠতে থাকে তখন দেখা যাবে অনেক অজানা তথ্যের সন্ধানও সরকার পেয়ে যাবে।
এতে করে শিক্ষার্থীদের আবিস্কার-মনস্ক এসব চিন্তধারাকে সরকার কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির ব্যাপক সাহায্য ও উন্নয়ন সাধিত করতে পারবে।