খাগড়াছড়ি জেলার নয়টি উপজেলায় অসংখ্য বালু মাহালে বালু উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও প্রশাসন নীরব থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকা বাসি। দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে সরকারী ইজারা ছাড়াই খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গ, রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি ও গুইমারা উপজেলাধীন বিভিন্ন স্থান থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে চললেও দেখার কেউ নেই। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন যেন এখন নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
জেলার সবকটি বালু মহাল ইজারা দানের দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল। বালু মহাল ইজারা দিলে রাজস্ব পাবে সরকার এবং ব্যবসায়ীরা বৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করতে পারবে।
সম্প্রতি জতীয় ও দৈনিক পত্রিকাসহ একাধিক পত্রিকায় সংবাদটি প্রচারের পরেও কোন প্রশাসনের টনক নড়েনি। ইজারাহীন এ সব বালু মহালের নিয়ন্ত্রনে থাকা সরকার দলীয় লোকজন হওয়ায় প্রশাসন নীরব। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালু মহালের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি বালু মহাল নিয়ন্ত্রনের জন্য স্থানীয় ইউএনও ও পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের সমন্বয় চলছে বলে দাবী করেন।
এসব বালু মহালের কোন নিয়ম না মেনে মেশিনের সাহার্য্যে প্রতিনিয়তই উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। জেলা জুড়ে এসব বালু বিক্রয় হলেও সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। পাশাপাশি নির্মিত সেতুর স্থায়িত্ব ঝুকি নিয়েও রয়েছে জনমতে নানা প্রশ্ন।
এক বালু ব্যবসায়ী বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশ, আওয়ামীলীগ দেরকে পারসেন্টিস দিয়ে চুক্তি ভিত্তিক বালু উত্তোলনের ব্যবসা চালাচ্ছি।
অন্যান্ন বালু ব্যবসায়ীরাও আমার পথ অনুস্বরণ করে বেশ কয়টি বালু উত্তোলনের কাজ অভ্যহত রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত রয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের। কিছু অংশ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে কিছু প্রভাবশালী উপজাতীয় হেডম্যান কার্বারী ও স্থানীয় মেম্বার।
তবে কোন বালু মহালেরই ইজারা নেই জানিয়ে কয়েকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, বালু মহালের কোন ইজারাদার নেই। কয়েকটিতে আমরা তদন্ত করে জরিমানা করেছি, বাকী সবকটিতে আমরা প্রয়জনীয় আইনি ব্যবস্থা অতিসীগ্রই নিব বলে আশ্বাস দিলেও এখনও কোন ব্যবস্থা বা ইজারা দেননি।
খাগড়াছড়ির নবাগত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মোঃ রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার সবকটি ইজারা বিহীন অবৈধ বালু মহাল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব ও সকল প্রকার দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।