আগামী জাতীয় বাজেটে দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি

605

স্টাফ রিপোর্ট- ১১ এপ্রিল ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি): বর্তমানে বাংলাদেশে দলিত জনগোষ্ঠী প্রায় ৬৫ লক্ষ। এই জনগোষ্ঠী তার জন্ম ও পেশার কারণে সমাজে নানাভাবে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার। যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত এই দলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ এর নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথমবারের মত ‘দলিত’ শব্দটি উল্লেখ এবং ২০১০ সাল থেকে এই জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ প্রদান শুরু অন্যতম। তবে বাংলাদেশের দলিত জনগোষ্ঠীর সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান না থাকায় জাতীয় বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ এবং সরকারী সেবাসমূহ থেকে এই জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট থেকে ‘দলিত’ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে ততস্থলে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী উল্লেখ করায় এই জনগোষ্ঠী পুনরায় বঞ্চিত হওয়ার পথে রয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ‘দলিত জনগোষ্ঠী’ উল্লেখ করে বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের এবং বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি ।

এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে দলিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে তাদের জন্য বিশেষ ও বর্ধিত বরাদ্দ নিশ্চিত করণের দাবিতে নাগরিক উদ্যোগ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এবং বাংলাদেশ দলিত নারী ফেডারেশন এর উদ্যোগে ১১ এপ্রিল, ২০১৭ (মঙ্গলবার), জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন  কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। মানবন্ধনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত দলিত নেতৃবৃন্দ আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। মানবন্ধন শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জ এ ‘বাংলাদেশে দলিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতীয় বাজেট’  শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক অধ্যাপক- স্বপন আদনান, সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক উদ্যোরে প্রধান নির্বাহী- জাকির হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, ডেভেলপমেন্ট সিনার্জি ইন্সটিটিউট (ডিএসআই)’র নির্বাহী পরিচালক- মনোয়ার মোস্তফা। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দলিত নারী ফেডারেশন সভাপতি- মনি রাণী দাস।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান ।