স্টাফ রিপোর্ট- ১৯ আগস্ট ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি): সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বর্তমান সময়ে কিশোর অপরাধ বেড়েই চলেছে যা রীতিমতো মারাত্বক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গাতে ফেসবুকভিত্তিক যে গ্যাং কালচার অপরাধ চালু হয়েছিল তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই নয়, সামাজিক-পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ধর্মীয় অনুশাসন ও মূল্যবোধ না মানার কারণেই কিশোর অপরাধ দিন দিন বেড়ে চলেছে। কিশোর অপরাধ কমিয়ে আনতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি কিশোরদের মাঝে সামাজিক-মানবিক মূল্যবোধ দৃঢ়ভাবে তৈরি করতে হবে।
আজ ১৯ আগস্ট রাজধানীর তেঁজগাওস্থ এফডিসিতে ব্র্যাক, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও এটিএন বাংলা আয়োজিত বিতর্কবিকাশের উদ্বোধনী বিতর্কে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্যই বড় শক্তি। সোশ্যাল মিডিয়াসহ যে কোনো ধরনের তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম বন্ধ নয়, এটিকে নিয়ন্ত্রণ করেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। একই সাথে তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ব্যাপক উপকারিতা থাকলেও বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, নারী নির্যাতন, কিশোর অপরাধ রোধে সোশ্যাল মিডিয়ার অবাধ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণ ও কিশোরদের অতিমাত্রায় আসক্তি তাদের উদ্ভাবনী শক্তিই শুধু নষ্ট করছে। একই সাথে গ্যাং কালচারে জড়িয়ে মাদকাসক্তি, হত্যা-খুন এর মতো জঘন্য কাজে জড়িয়ে পড়ছে। যা থেকে পরিত্রাণের জন্যে পিতা-মাতা, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তাদের সন্তানদের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। যাতে করে তারা প্রয়োজন ছাড়া অবাধে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে না পারে।
অনুষ্ঠানে অনন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূুচির প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মণ, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পরিচালক জাহিদ রহমান, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির ম্যানেজার মো. মোফাখকারুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের মহাসচিব মুস্তাফিজুর রহমান খানসহ অন্যরা।
প্রতিযোগিতায় সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে শেরপুর জেলার নকলার নয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় বিজয়ী হয়। শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হন স্বর্ণালী আক্তার বৃষ্টি। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় পক্ষ দল শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বক্তারা ছিল-অনন্যা রাণী দাস, অথৈ রায় দ্বীপ ও জেমস সরকার এবং বিপক্ষ দল নয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের বক্তারা হলো- জেবা আফিয়া জিশা, রেবেকা সুলতানা ইতি এবং স্বর্ণালী আক্তার বৃষ্টি। বিচারক ছিলেন-অধ্যাপক-লেখক আবু মোহাম্মদ রইস, গণবিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিরীণা বিথী, ব্র্যাক-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।