নির্যাতনের অভিযোগে এনে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

569

॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥

গৃহবধুকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার পর আবারো যৌতুক দাবী করলে  অপারগতা প্রকাশ করায় অমানুষিক নির্যাতনসহ নাবালিকা মেয়েকে দ্বিতীয় বিবাহ করার অভিযোগ এনে ন্যায় বিচারের দাবীতে স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে আবু তাহের রাজুর প্রথম স্ত্রী। শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন, গুইমারা মেম্বার পাড়ার মৃত হাকিম আলী কন্যা নুর হাওয়া বেগম জুলি।

এতে সংবাদ সম্মেলনের কপি পাঠ করেন, গুইমারার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আ: আজিজ। এতে উপস্থিত ছিলেন, গুইমারা ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা মেম্বার ফাতেমা বেগম,নুর হাওয়া বেগম জুলির ভাই নুর নবী, তার স্ত্রী হোসনেয়ারা নবী প্রমূখ।

তিনি অভিযোগ করেন, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতির বান্দরছড়ার বাসিন্দা হুদা মিয়ার বড় ছেলে আবু তাহের রাজুর সাথে ২০০৫ সালের ৬ মে শরীয়াতের বিধান মতে দেড় লক্ষ টাকার দেন মোহর ধার্য্যে বিবাহ হয় তাদের। বিবাহের ১৫ মাসের সময় একটি ছেলে সন্তান জম্ম নেই।

স্বামীর অবহেলা ও চিকিৎসার অভাবে সে ছেলেও মারা যায়। এরপর থেকে চাকরীর অযুহাতে মোটা অংকের টাকা দাবী করতে শুরু করে অর্থ লোভী রাজু। এক পর্যায়ে বোনের সংসারের সুখের জন্য জুলির বড় ভাই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকরী নেওয়ার জন্য রাজুকে নগদ ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করে।

এরপর থেকে সে লাগামহীন ভাবে টাকা দাবী করতেই থাকে। নইলে অন্যস্থানে দ্বিতীয় বিবাহ করবে বলে হুমকি দেয় এবং অমানুসিক নির্যাতন, মারধর করতে থাকে। সম্প্রতি সে গোমতির বান্দরছড়া এলাকার বাসিন্দা মহিদুল ইসলামের নাবালিকা মেয়ে মুক্তা আক্তারকে গোপনে বাল্য বিবাহ করে। মেয়েটির জম্ম ১০ ডিসেম্বর ২০০৩ বলে জানায় সে।

এ সময় অভিযুক্ত রাজুর এ অপকর্ম নতুন নয় উল্লেখ করে জুলি জানান, সে একাধিক মেয়েকে বিয়ের প্রলবণ দিয়ে নানা গিফ্ট সামগ্রী দেওয়াসহ লোভ দেখিয়ে জীবন নষ্ট করেছে। প্রথম স্ত্রী রেখে বাল্য বিবাহসহ নারী নির্যাতনের বিষয়ে স্থানীয় গোমতি ইউপি চেয়ারম্যান সালিশ করে তাদের পুলিশে দিলেও সে কৌশলে থানা থেকে বেরিয়ে এসে নানা হুমকি দেওয়ায় বর্তমানে সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানায়।

এছাড়াও এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি আমলী আদালতে ন্যায় বিচারের আশায় একটি মামলা দাখিল করার পর আবু তাহের রাজু ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর চাচা জর্জ কোর্টে কর্মরত ড্রাইভার মো: আনিস নামে চাচা পরিচয় দানকারী ব্যাক্তি মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে গুইমারা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।