পাহাড়ের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আরো বেগবান করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব এবং রাঙামাটির প্রাক্তন জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বেগবান হলে পাহাড়ে অপরাধ প্রবণতা অনেক কমে যাবে। নতুন প্রজন্ম ও যুব সমাজকে যদি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের দিকে ধাবিত করা যায় তাহলে তারা কখনোই খারাপ কাজে পা বাড়াবে না।
সাংস্কৃতিক চর্চায় জড়িত থাকলে কোন যুবক মাদকাসক্ত হবে না। আমাদের দেশ একটি সোনার বাংলাদেশে রূপান্তর হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলা সাংস্কৃতিক একাডেমীর সনদপত্র বিতরণ, সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কাপ্তাই উপজেলা সাংস্কৃতিক একাডেমীর প্রধান উপদেষ্ঠা খোরশেদ আলম কাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ জাফর আহাম্মদ খান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, কাপ্তাই উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অংসুছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আমিন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলা সাংস্কৃতিক একাডেমীর সভাপতি জয়সেন বড়–য়া।
সুরের মুর্ছনা কাকে বলে নতুন করে শিখিয়েছে কাপ্তাই সাংস্কৃতিক একাডেমী। বাদ্য যন্ত্রের তালে তালে দেশাত্ববোধক গানের সুর সহ বিভিন্ন গানের মুর্ছনায় দর্শকদের মোহিত করে তোলে। পরে শুরু হয় দলীয় গানের সঙ্গীত, এবং দলীয় নৃত্য পরিবেশনা।
আলোচনা সভা শেষে কাপ্তাই উপজেলায় সংগীত জগতকে পরিচিত করে তোলার জন্য এবং কাপ্তাই সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পুরোধা বাংলাদেশ বেতার শিল্পী ফারজানা ইসলাম লিপিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সব শেষে কাপ্তাই উপজেলার সাংস্কৃতিক একাডেমীর বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ২৯৪ জন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।