শাক্যমনি বৌদ্ধ বিহারে ১১তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত

591

॥ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ॥
রাঙামাটির নানিয়ারচরে গর্জনতলী পাড়া শাক্যমনি বৌদ্ধ বিহারে ১১তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৪ অক্টটোবর) সকালে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে পঞ্চশীলা প্রার্থনা, বুদ্ধমুর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, কল্পতরু দান, আকাশ প্রদীপ উৎসর্গসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুরে ঢোলের তালে নেচে নেচে উৎসব মুখর পরিবেশে কঠিন চীবর ও কলাপতরুকে প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা করেন পুণ্যার্থীরা। মঞ্চে আগত বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘকে ফুলের তোরা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।পরে গর্জনতলী পাড়া শাক্যমনি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ ধর্মপল ভিক্ষুকে বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠ দান কঠিন চীবর প্রদান করেন চিরণ জিৎ চাকমা।

এসময় অনুষ্ঠান পরিচলনা করেন নিরাশা চাকমা ও শোভন চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি নতুন কৃষ্ণ চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক বীর চন্দ্র চাকমা। বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন ঋতু চাকমা। পঞ্চশীল প্রার্থনা পাঠ করেন অমর বিকাশ চাকমা।

অনুষ্ঠান ধর্ম দেশনা দেন, ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বন ধ্যান কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির, রত্নাংকুর বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্ধ মহাস্থবির, চিত্তারাম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ মৈত্রী লংকার মহাস্থবির ও গর্জনতলী পাড়া শাক্যমনি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ ধর্মপাল ভিক্ষুসহ অন্যান্য প্রমুখ।

ধর্মদেশনায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বলেছেন, মানব জীবনে পুণ্য লাভ করা যায় দানের মাধ্যেমে। দান করলে পরে তার অধিক ধন-সম্পদ লাভ করা যায়। গৃহী জীবনে যেমন পঞ্চশীলের কোনো বিকল্প নেই ঠিক তেমনি জীবনে দানই হচ্ছে অন্যতম। যার কারণে ভগবান বুদ্ধের সময়কাল থেকে দানের শ্রেষ্ঠ দান হিসেবে বিবেচিত কঠিন চীবর দান।