কাপ্তাইয়ের কোরবানীর হাটে পশুর দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে ক্রেতারা

458

|| কাপ্তাই প্রতিনিধি ||

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কাপ্তাই নতুনবাজার আনন্দ মেলাঘাটে প্রতি বছরের ন্যয় এবারো কোরবানির পশুর হাট বসেছে। শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এইবার হাটে অনান্য গরুর চেয়ে পাহাড়ী গরুর চাহিদা বেশি থাকায় গরুর দাম কিছুটা বেশী। তাই অনেক ক্রেতাকে গরু ক্রয় না করে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। পবিত্র কোরবানি উপলক্ষে প্রতিবছরই রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলা থেকে কাপ্তাই নতুনবাজার আনন্দ মেলাঘাটে নদী পথে পাহাড়ী মোটা তাজা গরু নিয়ে আসে বিক্রেতারা।

এলাকার লোকজন ছাড়াও কাপ্তাই উপজেলার বাইরের অন্য উপজেলার লোকজন আসে কোরবানির গরু ক্রয় করতে। এদিকে কাপ্তাইয়ের কোরবানী পশুর হাটে পাশ্ববর্তী রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে আসা আব্দুল খালেক জানান, পাহাড়ী গরুর চাহিদা সবসময় বেশি থাকে। তিনি জানান, এ গরু সব সময় পাহাড়ে জঙ্গলে প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বড় হয়। তাই এরা খুব ইষ্ট, পুষ্ঠ হয়ে থাকে। কোন প্রকার মোটা তাজা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়না। আর অন্যদিকে অনেক খামারি মোটা তাজা করার জন্য ইনজেকশন পুস করে। তাই পাহাড়ী গরুর কদর বেশি বলে তিনি জানান। গরু ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, এবার গরুর দাম বেশি।

কি কারনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লকডাউনের ফলে পূর্বের তুলনায় কম সংখ্যক গরু বাজারে আনা হচ্ছে। তাছাড়া গরু আনতে পথে, পথে বিভিন্ন রকমের অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়। যার ফলে গরুর দাম এবার বেশি বলে উল্লেখ করেন তিনি। গরু ক্রয় করতে আসা কাপ্তাইয়ে উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গরু অনুযায়ী এইবছর দাম খুব বেশি। অনেক ক্রেতা দাম শুনে মাথায় হাত। কেউ বলছে বাজেটের চেয়েও অনেক বেশি। এবার হয়তো এ বাজেটে কোরবানি দেয়া হবেনা বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। কাপ্তাই নতুনবাজার আনন্দ মেলা ঘাটের ইজারদার মোঃ মনির জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম উর্ধমুখী। বেঁচাকেনাও কম বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে আগামী শনি, রবিবার থেকে হয়তো কিছুটা দাম কমার পাশাপাশি বিক্রয় বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারনা করছেন তারা।