কৃষকের মুখে হাসি ফোটালো নানিয়ারচরের আনারস

415

।। মাহাদী বিন সুলতান ।।

নানিয়ারচর উপজেলায় মৌসুমী ফল আনারসের ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি প্রান্তিক চাষীরা। চলমান লকডাউন ও মাহে রমজান উপলক্ষে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আগের তুলনায় অনেক ভালো দাম পাচ্ছে বলে জানায় স্থানীয় কৃষকরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট, বগাছড়ি এবং ইসলামপুর এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীগণ মৌসুমের শুরুতে বাজার দর খারাপ থাকলেও বর্তমানে বাজারে বেড়েছে আনারসের চাহিদা ফলে বেড়েছে বাজার দর। পূর্বের লোকসান কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন, মৌসুমের শুরুতে আনারসের তেমন মূল্য পায়নি কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে লকডাউন ও রমজানে বেড়েছে আনারসের চাহিদা এবং কমেছে আনারসের যোগান। ফলে ৮-১০ টাকার ফল এখন বিক্রি হচ্ছে ১২-১৮ টাকায়। দাম ভাল পেয়ে কিছুটা আশা নিয়েই পূর্বের লোকসান কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন ওই ব্যবসায়ী।

স্থানীয় এক কৃষক জানান, যারা মৌসুমের শুরুর দিকে ফল বিক্রি করে দিয়েছে তারা লোকসান গুনলেও মৌসুমের শেষে এসে অনেকেই ভাল দাম পাচ্ছে। এই ব্যাপারে মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী ও ২নং ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, পুর্বের তুলনায় এখন কৃষকরা আনারসের ভাল দাম পাচ্ছে। এই মৌসুমে আনারসে ভাল লাভবান হবে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ আলম বলেন, কৃষি বিভাগ সব সময় আনারস চাষিদেরকে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। আনারসের পাশাপাশি মিশ্র ফল চাষে স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধকরণ পক্রিয়া চলমান।