চান্দপুর ও বেগমখাল চা-বাগান এলাকায় অবৈধ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন প্রক্রিয়া থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে : সিপিবি-বাসদ’র মানববন্ধন ও সমাবেশ

405

IMG_5804

ঢাকা ব্যুরো অফিস, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি) : হবিগঞ্জের চান্দপুরে চা-শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ ২৩ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ-এর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সমাবেশে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, উর্বরা ২-৩ ফসলী জমিকে অনুর্বর অকৃষি জমি বলে উল্লেখ করে সরকার ১২শ চা শ্রমিক সহ ১৬ হাজার শ্রমজীবী মানুষকে উচ্ছেদ করে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন করার ঘোষণা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, চান্দপুর ও বেগমখাল চা-বাগান এলাকায় অবৈধ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন প্রক্রিয়া থেকে সরকারকে দ্রুতই সরে না আসলে আন্দোলন শুধু হবিগঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলে বাধ্য করা হবে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, চা-শ্রমিকরা নির্মম শ্রম-শোষণের শিকার। অবহেলিত এই চা-শ্রমিকদের স্বার্থ ও অধিকারের বিষয়টি শাসকশ্রেণি বরাবরই উপেক্ষা করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করার ব্যাপারে সরকার চা-শ্রমিকদের সাথে কোনো রকম আলোচনা করেনি। নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজার হাজার চা শ্রমিককে হত্যা করেছিল পাক বাহিনী। এখন সরকার সেই চা শ্রমিকদের উচ্ছেদ করে আবার তাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ যে সব সময় ভাল তা নয়। অতীতে অক্সিডেন্টাল আমাদের গ্যাস পুড়িয়েছে। আমাদের দেশের সস্তা শ্রম ব্যবহার করার জন্যই বিদেশী বিনিয়োগ উল্লেখ করে তিনি বলেন টাকা লুটপাটের একটা কৌশল হচ্ছে এই বিদেশী বিনিয়োগ। তিনি বলেন, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন এলাকায় এখনও আন্তর্জাতিক শ্রম আইন চালু হয়নি।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সিপিবি প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লাবলু, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, নগর নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, সিপিবি কেন্দ্রীয় নেতা কাফি রতন ও বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদ-এর উপদেষ্টা মোহন রবিদাস। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, কারখানার বর্জ্য নদীর পানি দূষিত করার ফলে সে পানি মানুষ ব্যবহার করতে পারছে না।আমরা অর্থনৈতিক জোন-এর বিরোধী নই, কিন্তু ২-৩ ফসলী আবাদী জমি ধ্বংস করে, চা শ্রমিকদের উচ্ছেদ করে উন্নয়ন আমরা চাই না।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ চা শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন ২৭ ডিসেম্বরের পর চা শ্রমিকরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করলে সিপিবি-বাসদ সেই আন্দোলনের সাথেও থাকবে।

বার্তা প্রেরক- চন্দন সিদ্ধান্ত
কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগ, সিপিবি

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান