মন্দির ও বাড়ি ঘরে হামলার প্রতিবাদে রাজস্থলীতে মানবন্ধন

419

dscn2767
॥ মোঃ আজগর আলী খান ॥

রাজস্থলী উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ ও সনাতন যুব পরিষদ, জাগো পরিষদের যৌথ উদ্যোগে ব্রাক্ষ্মন বাড়িয়ার নাসির নগরে ও সিলেটের মধাব পুরে বিভিন্ন মঠ মন্দিরে হামলা চালিয়ে বিগ্রহ ভাঙ্গচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে অগ্নি সংযোগ, লুটপাট ও বরবরচিত হামলার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তরা বলেন, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী, ধর্মান্দ মৌলবাদী ও জঙ্গি গোষ্ঠিগুলো একের পর এক সংখ্যা লঘু হিন্দু সাধু-সন্যাসী, বাড়ি ঘর, মন্দিরে হামলা, জায়গা জমি বেদখল করলেও এসব অপকর্মের বিচার হিনতার কারনে তা বেড়ে চলছে। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ নেতৃত্ব দানকারাী সরকার দেশ পরিচালনা করলেও কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তার উদাসিনতায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা প্রশ্রয় পাচ্ছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ কামনা করে না।

বক্তারা প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়দুল হক বক্তব্যকে সমালোচনা করে আরো বলেন, বর্তমান সরকার অসম্প্রদায়িক বিশ্বাস করে। কিন্তু সংসদে একজন সাম্প্রদায়িক মন্ত্রী কেন? তিনি ঘটনার ৩দিন পর ব্রাক্ষন বাড়িয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তিনি বলেছেন, মালায়নরা বেশি বাড়াবাড়ি করছে। আর সাংবাদিকরাও উসকানি দিচ্ছে।

মন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই দেশ যখন ১৯৭১ এর পূর্বে পাকিস্থানের অধীনে ছিল তখন হিন্দুদেরকে ঘৃনা করে বলতো মালায়ন। কিন্তু বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। এ স্বাধীন দেশে হিন্দুদের এখনো ঘৃনা করে, তারই বাস্তব উদাহরন। বক্তারা আরো বলেন, হিন্দুদের টেক্সের টাকা উক্ত মন্ত্রী খরচ করে না? স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে যে পাজারো গাড়িটি চড়ছে, সে তেলের পয়সা কি হিন্দুদের টেক্সের টাকায়।

অন্যথায়, মালায়ন কাহাকে বলে সেটি সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবী জানান। যদি ব্যাখ্যা দিতে না পারে তাহলে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার ও দাবী জানান হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা।

এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল কান্তি শর্মা, সম্ভু নাথ বনিক, রাখাল চন্দ্র দে, অরিন্দ্র চক্রবর্তী, রুবেল দে, রদিস দে, উজ্জল চক্রবর্তী, মৃদুল দাশ, দিলীপ চক্রবর্তী, মিঠুল চন্দ্র দে, লিটন বনিক, হারাধন কর্মকার, রানা ধর, দিলীপ দাশ, লিটন নাথ, ধনরাম কর্মকার, তিলক দে প্রমুখ।