লামায় জাতীয় শোক দিবসে নানান কর্মসূচি

437

॥ লামা প্রতিনিধি ॥

নানান কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক পালন করেছে বান্দরবানের লামা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ উপলক্ষ্যে সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের ব্যানারে এক শোক র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী নেতৃত্ব দেন। এতে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, রাজনৈতিক, সামাজিক সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় টাউন হল মিলনায়তনে গিয়ে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী।

এতে পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান, সহকারি কমিশনার (ভুমি) সায়েদ ইকবাল, কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরে আলম, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল মজুমদার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ূয়া বিশেষ অতিথি ছিলেন। শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর চিত্রাংকন, রচনা, হামদ-নাথ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও যুব ঋণ বিতরণ করেন অতিথিরা। একই দিন দিবসটি উপলক্ষ্যে লামা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় মিলনায়তনে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও দুপুরে কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

এ আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথি মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কথা মনে পড়লে আজো ব্যাথায় কাঁকিয়ে উঠে বাঙালীর হৃদয়। ইতিহাসের কলঙ্কিত এ দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হারিয়েছে বাঙালি। তাই এ দিনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করছে দেশবাসী। একই ভাবে স্ব স্ব উদ্যোগে উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী বেসরকারী দপ্তরগুলো পৃথক শোক দিবস পালন করে।