শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণও জরুরী

575

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করাও জরুরী বলে মত প্রকাশ করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শেখায়, সমাজের খারাপ দিকগুলোকে পরিহার করে তাদের মানুষের ভালো ও কল্যাণকর কাজ করতে উৎসাহিত করে।

তাই শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তালুকদার বলেন, এ কারণেই বর্তমান সরকার অন্যান্য উন্নয়নের পাশাপাশি সবাই যেন যার যার ধর্ম যাতে সঠিকভাবে পালন করতে পারে সে লক্ষে মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির, গীর্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। তবে গণ মানুষের এ সরকার সাম্প্রদিক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।

বরকল উপজেলার সুবলং হাজাছড়া সাম্য বৌদ্ধ বিহারে শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন কঠিন চীবর দান প্রস্তুতি ও বিহার উন্নয়ন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক ধর্মীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এই নেতা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জ্যোর্তিময় চাকমা কেরল,  বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সন্তোষ চাকমা, বুদ্ধ ধর্ম কল্যান ট্রাষ্ট এর সদস্য দীপক চাকমা, বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী মৎস্য লীগের সভাপতি উদয়ন বড়–য়া, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুশান্তময় চাকমা, আওয়ামীলীগ নেতা অমলেন্দু চাকমা’সহ মন্দির পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নের্তৃবৃন্দরা  উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বরকল হাজাছড়া সাম্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সংঘপাল মহাথের। ধর্মীয় দেশনা পাঠ করেন বরকল বাঘাছলা বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বোধিপ্রিয় মহাথের।

অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, ধর্মীয় নীতি ও আদর্শকে মেনে চললে জীবনে প্রতিষ্ঠিত ও সৎ হওয়া যায়। সকল ধর্মেই শান্তির বানী দেওয়া আছে। কোন ধর্মেই অশান্তি, হানাহানি, হত্যার কথা বলা নেই। তিনি বলেন, লোভ ও হিংসা ত্যাগ করতে পারলেই প্রকৃত সুখ। সমাজের সব খারাপ দিকগুলোকে পরিহার করে মানব কল্যানে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারাটাই বড় ধর্ম। তিনি আসন্ন দানোৎত্তম কঠিন চীবর দান সুষ্ঠ  ও সুন্দরভাবে মন্দির পরিচালনা কমিটিকে পরিষদ হতে এক লক্ষ টাকা ও এক টন খাদ্য শষ্য প্রদানের প্রতিশ্রুতী ব্যক্ত করেন।
পরে বুদ্ধমূর্তি, অষ্টপরিস্কার, সংঘদান’সহ দেশ ও জাতির শান্তি কল্যাণে সমবেত প্রার্থনা করা হয়।