রাঙামাটিসহ ৫ জেলায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

500

॥ গোলাম মোস্তফা ॥
ভিডিও কনফারেন্সে “নির্বাচনী অঙ্গীকরে ডিজিটাল হলো দেশ- মুজিববর্ষেই পাসপোর্ট ধন্য বাংলাদেশ” স্লোগানে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান,  কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুরে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস হতে উক্ত জেলা সমূহের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একযোগে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মাধ্যমেই সারা বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আওতাভূক্ত হলো।

এসময় রাঙামাটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত ছিলেন- ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ ওয়ালীউল্লাহ, স্কোয়াডন লিডার মেহেরেন আলী, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, আইনজীবি এ্যাড. প্রতীম রায় মাম্পু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান প্রমূখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের হাতে অতিথিরা ই-পাসপোর্ট তুলে দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, এই পাসপোর্ট বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে এবং পাসপোর্টের নিরাপত্তা অধিকতর নিশ্চিতকরণসহ ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশভ্রমণ ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ হবে।

বক্তারা আরো বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ কর্তৃক ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ই-পাসপোর্ট নামে পরিচিত বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে স্মাট কার্ড পযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যাতে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা বসানো থাকে। আর এই পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাসপোর্টের ডেটা পেইজ এবং চিপে সংরক্ষিত থাকে। তাই পাসপোর্ট নিয়ে মানুষের ভোগান্তি ও একজনের নামে একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা আর থাকবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।