॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
শোকের মাস আগস্ট সামনে রেখে রাঙামাটিতে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের’ উপর একুশে পদক প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্র সাংবাদিক পাভেল রহমানের একগুচ্ছ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের আয়োজনে ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এই চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ডিসি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ^জোড়া সুনাম কুড়ানো একজন বিশ^মানের নেতা ছিলেন। তার জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে আমাদের জন্য শিক্ষনীয় অনেক কিছই রয়েছে। আজকের প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ছবিগুলো এক একটি ইতিহাসের অংশ। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে এই ছবিগুলোর দেখেছি, কিন্তু ছবির পিছনে থাকা প্রকৃত গল্পগুলো আজ শিল্পীর নিজ মখে শুনে সমৃদ্ধ হলাম। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অনেক কাছে থেকে তিনি যেভাবে কাজ করেছেন, আমাদের ওনার কাছে থেকে অনেক কিছু শিখার আছে। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি একজন সফল সাংবাদিক হয়েছেন, জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করে যে সুনাম বয়ে এনেছেন তা নুতন প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত। আমাদের পাভেল রহমানের কাজের উপর অনুপ্রেরণা নিয়ে কাজ করতে হবে। লোভ সমভ্রম করে কাজ করলে সমাজ, দেশ, জাতি এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে পাভেল রহমান তাঁর ফটোসাংবাদিকতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং ৯০ ই গণআন্দোলনসহ নানা দিক তুলে ধরেন । তিনি বলেন, ফটোসাংবাদিকতার জীবনে আমি মানুষের আবেগ, অনুভূতি, জীবন -প্রকৃতির গল্প তুলে আনার চেষ্টা করেছি। দেশ বিদেশে কাজ করার সুযোগে আমি প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে বাস্তব রূপ তুলে আনার চেষ্টা করেছি।
রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দি ডেইলী পিপলস্ ভিউ’র সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব একেএম মকছুদ আহমেদ।
রাঙামাটি প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হোক এর উপস্থাপনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সঙ্গীত গুরু মনোজ বাহাদুর গুর্খা, রাঙামাটি রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, এসএটিভির রাঙামাটি প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোলায়মান ও আরটিভির রাঙামাটি প্রতিনিধি ইয়াসিন রানা সোহেল। ।
একেএম মকছুদ আহমেদ বলেন, পাভেল রহমানের সাথে দীর্ঘদিনের পরিচিত আমাদের, বলা যায় আলোকচিত্রী পাভেল রহমান, দি ডেইলী পিপলস্ ভিউ সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর আমরা তিন জন মায়ের পেটের ভাই মতো। আমরা যখন কাজ করছি তখন বর্তমানের মতো সুযোগ সুবিধা ছিলো না। অনেক প্রতিকূলতা পার করতে হয়েছে। আমাদের কাজের মাধ্যমে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। আজ শান্তি চুক্তির ফলে পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারছে। শান্তি চুক্তিতে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকায় এই চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়ক হয়েছে।
এসময় বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সহ মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে পাভেল রহমান সাহসীকতার সহিত ফটোসাংবাদিকতা করেছেন। ক্যামরা হাতে কত দিন, কত রাত, কত সংকটময় সময়, কত অনিশ্চয়তা কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে ছবি তুলে দেশ ও বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন পাভেল রহমান। যার মাধ্যমে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছে বিশ্ব। প্রর্দশনীতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর ৩০টি আলোকচিত্র স্থান পায়।