॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সারাদেশের মতো বান্দরবান পার্বত্য জেলায় উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবারে জেলার ৭টি উপজেলার ৩২টি মন্ডপে কঠোর নিরাপত্তায় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে।
বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তাপস কান্তি দাশ জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজা মন্ডপ তৈরি করা হয় বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে। মহাদেব শিবের তাপস্যার স্থান কৈলাস পর্বতের অনুসরণে এবার ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে পূজামণ্ডপকে সাজানো হচ্ছে।
বান্দরবান কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এবছর বান্দরবান জেলায় ৩২টি পূজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ১১টি, লামা উপজেলায় ৮টি, আলীকদম উপজেলায় ৬টি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৩টি, রুমা উপজেলায় ১টি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি এবং থানচি উপজেলার ২টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন দাশ বলেন, ২০২১ সালে জেলার লামায় দুর্গা পূজামন্ডপে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আশাকরি এবার এই ধরণের ঘটনা ঘটবে না। প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এদিকে শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন মন্দিরে দূর্গা প্রতিমাগুলোকে রাঙাতে শিল্পীরা ছুটে যাচ্ছেন এক মন্ডপ থেকে অন্য মণ্ডপে। বান্দরবানের প্রতিটি পূজা মণ্ডপেই এখন চলছে শেষ সময়ের ব্যস্ততা। চলছে সাজানো-গোছানোর কাজও। প্রতিবারের মতো ব্যাপক আয়োজনে এবার বান্দরবানের উপজেলাগুলোতে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন রায়হান কাজেমী বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজামন্ডপগুলোতে নিশ্চিদ্র পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সার্বক্ষণিক পুলিশ উপস্থিত থাকার পাশাপাশি সাদা পোশাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ পুলিশের দল টহলে থাকবে। এছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপে তিন স্তরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন সুষ্টভাবে সম্পন্ন করা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে থাকবে।