মানত পুরণে বেগম জিয়ার সাক্ষাৎ চান রাঙামাটির এক স্মৃতিকাতর গৃহবধূ

11

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

৪০ বছর আগে কুড়িগ্রামের বিদ্যালয়ে পড়ার সময় সে সময়ের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আদর করে দিয়েছিলেন এক কিশোরীকে। সেই স্নেহাশীষ আজও ভুলতে পারেননি তিনি। এখন তিনি তিন সন্তানের জননী। ইতোমধ্যে পানি গড়িয়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। বেগম জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, ভোগ করেছেন স্বৈরাচারের কারা নির্যাতন। এতদিন পর আবার স্বপ্নে সেই নেত্রীর কাছ থেকে এক গোপনীয় নির্দেশনা পেয়েছেন আজকের গৃহবধূ। এমন দাবি করে খালেদা জিয়ার নির্দেশনা পালনে এবার নেত্রীর সাথে সাক্ষাৎ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।

সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার নেক উদ্দেশ্য ও মানত পূরণের আকাক্সক্ষায় প্রিয় নেত্রীর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে তার আকুতি খালেদা জিয়া পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার আকুতি জানিয়েছেন সংবাদ কর্মীদের কাছে।

গৃহবধূর নাম ফারজানা আক্তার, তিনি রাঙামাটি শহরের পুরান বসতির বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘১৯৮৪ সালে কুড়িগ্রামে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি জনসভা হয়। সেই জনসভায় ঠিক সামনে একটি ছোট্ট মেয়ে বসে থাকতে দেখে আপনি তাকে পরম স্নেহে আদর করে দেন এবং বেশ খানিক্ষণ দুষ্টমি করেন তার সাথে; সেই ছোট্ট মেয়েটিই আমি’। আমার বাবা ছিলেন পুলিশ অফিসার, সেই সুবাদে আমি কুড়িগ্রামে বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম। আপনার সভার পরের দিন ক্লাসে বান্ধবীদের বলি যে, ‘দেখেছিস! কাল যে খালামনিটা আমার আদর করে দিয়েছে, ওই খালামনিটা একদিন প্রধানমন্ত্রী হবে। তখন বান্ধবীরা তর্ক করে বলে ‘উনি কখনো প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, কেননা আমাদের এরশাদকে কোনদিন নামাতে পারবেনা। আমি তখন অনেক ছোট; তাদের তর্কের এক পর্যায়ে বলি ‘খালামনি প্রধানমন্ত্রী হলে আমি মহিলা মাদ্রাসা ও মসজিদ বানিয়ে দিবো উনশাল্লাআল্লাহ, উনি প্রধানমন্ত্রী হবেই। ‘শেষ পর্যন্ত আপনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত মসজিদ বানাতে পারি নাই’।

তিনি লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে কুমিল্লার কর্ণেল আকবর মামাকে ১৯৮৪ সালের জনসভায় ঘটনা বললে তিনি বলেন, তুই সেই মেয়ে আমার মনে আছে। তাকে সহ আপনার সান্নিধ্য পাওয়ার আশায় অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তুআজ পর্যন্ত আপনার সাথে দেখা করতে পারি নাই।

তাই কারো মাধ্যম ছাড়া দয়া করে সরাসরি আমার সকল কথা শুনার ব্যবস্থা নিবেন, কেননা আপনি বা আপনার দল আবারও আল্লাহর দয়ায় দেশের উপকার করতে চাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ আপনি এবং আমি এক সাথে অতিশ্রীঘ্রই আল্লাহর ঘর মক্কায় তোয়াফ করে মদিনায় নবিজীর রওজা জেয়ারতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। এটা আমার অনেক দিনের ইচ্ছা। আমার এই নেক উদ্দেশ্য পুরণ করার জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ দেশের সকল মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।

আমার ইচ্ছা রাঙামাটিতে একটি আর্ন্তজাতিক মহিলা মাদ্রাসা ও মসজিদ গড়ে তোলা। যেখানে মহিলারা আল্লাহ ও রাসুলের কথা স্মরণ করে নামাজ আদায় করতে পারে।