ঝুঁকি এড়াতে কাপ্তাই হ্রদ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়ার সিদ্ধ্যান্ত কতৃপক্ষের

368

স্টাফ রিপোর্ট- ২৫ জুলাই ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি:  ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং দু’দিনের ভারী বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি এড়াতে পানি হ্রদের ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ বাঁধের ১৬টি স্পীল ওয়ে দুই ফুট করে খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ড ৩৬হাজার কিউসেক পানি অপসারণ করা হচ্ছে।

কাপ্তাই পানি বিদুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায় সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেল থেকে ১৬ টি স্পিলওয়ে ২ ফুট করে খুলে খুলে দেওয়া হয়। কাপ্তাই পানি বিদুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আব্দুর রহমান জানান, দু’দিনের  ভারী বৃষ্টি ও  উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে হ্রদের পানির পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে রুল কার্ভ অতিক্রম করেছে।

রুলকার্ভ অনুযায়ী বর্তমান মওসুমে কাপ্তাই লেকে পানির পরিমান থাকার কথা ৮৭.৬৮ (এমএসএল)  মীনস সি লেভেল। কিন্তু বর্তমানে মওজুদ পানির পরিমাণ ১০৫. ৩৬ এমএসএল। এদিকে সময়ের ব্যবধানে কাপ্তাই হ্রদের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় রুল কার্ভ অনুযায়ী পানি ধরে রাখলেও বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এখন রুল কার্ভ অতিক্রম করেছে, এতে রাঙামাটি জেলাসদরসহ লংগদু, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি ও বাঘাইছড়ি বেশ কিছু এলাকার ফসল তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে অনেক বাড়ী-ঘর। সূত্র জানায় বাঁধের উপর ঝুঁকি এড়াতে এবং জনদূর্ভোগ লাঘবে হ্রদে পানির মুজুদ কমানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারন ক্ষমতা ১০৯ মীনস সি লেভেল। কিন্তু অর্ধ শতাব্দীরও বেশী সময় ধরে হ্রদে কোনো ড্রেজিং না হওয়ায়, পাহাড় ভেঙ্গে এবং পলি জমে হ্রদের ধারণ ক্ষমতা অনেক কমে গেছে। প্রকৌশলী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত গেইট দিয়ে পানি ছাড়া অব্যাহত থাকবে।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।