মে দিবসে প্রান্তিক কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো রাঙামাটি কৃষক লীগ

701
স্টাফ রিপোর্টার 
বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারনে ধানকাটা শ্রমিকদের অভাবে বিপাকে পরা কাপ্তাই উপজেলার কৃষক সংগঠক ও উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুধীর তালুকদারের জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা।
২৯৯ আসনের সাংসদ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সার্বিক তত্বাবধানে কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা প্রান্তিক কৃষকদের পাশে নিজেদের আত্মনিয়োগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমির চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এম. পি. এর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ কৃষক লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি জাহিদ আক্তার ও বাংলাদেশ কষক লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য নিশীথ তালুকদারের নেতৃত্বে কাপ্তাই উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুধীর তালুকদারের ধানী জমিতে ধান কেটে “ধান কাটা উৎসব” পালন করা হয়।
মাঠ পর্যায়ে এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শান্তনা চাকমা, কৃষক লীগ রাঙামাটি জেলার সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক অরুণ ধরসহ কৃষক লীগ এর রাঙামাটি জেলার নেতৃবৃন্দ ও কাপ্তাই উপজেলা কৃষক লীগের নেতা কর্মীরাও অংশ নেন।
শনিবার (১লা মে) মহান মে দিবসে প্রান্তিক কৃষকের জমির ধান কেটে দেয়ার মধ্য দিয়ে উপজেলা কৃষক লীগের ধান কাটা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। এই কৃষকের এক একর জমির ধান কেটে দিয়েছে কৃষক লীগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশব্যাপী “ধান কাটা উৎসব” শুরু করেছে কৃষকলীগ। এর আওতায় রাঙামাটি জেলা কৃষক লীগও কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য জননেতা জাহিদ আক্তার।
কৃষক সংগঠক সুধীর তালুকদার জানান, দেশে করোনা সংক্রমণের মধ্যে রুপের রাণী খ্যাত রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে পাকতে শুরু করেছে ধান। প্রতিবছর ধান কাটার মৌসুমে উত্তরবঙ্গ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলবেঁধে ধানকাটা শ্রমিকরা আসে রাঙামাটি কিন্তু এবার করোনার প্রভাব ও লকডাউনে প্রয়োজনীয় শ্রমিক আসেনি। ফলে শ্রমিকের অভাবে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাহাড়ের কৃষকেরা। আজ মহান মে দিবসে কৃষক লীগের এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, বোরো ধান আবাদের কারনে সঞ্চয়ের সকল পুঁজি খরচ হয়ে গিয়েছিলো তাঁর। হাতে নগদ অর্থ না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিলো, এছাড়া এখন ধানকাটা শ্রমিকেরও অভাব, এজন্য জমির ধান পাকলেও কাটাতে পারছিলেন না তিনি। শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি কালবৈশাখি ঝড়ের শঙ্কায় ফসল তোলা নিয়ে দিশেহারা প্রান্তিক এই কৃষকের পাশে দাঁড়ানোয় কৃষকলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।