সরকারের পদক্ষেপে দেশে দ্রুত নারী সমাজের অবস্থার উন্নয়ন ঘটছেঃ ডিসি মামুন

419

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
সরকারের পরিকল্পিত পদক্ষেপে দেশে দ্রুত নারী সমাজের অবস্থার উন্নয়ন ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে নারীকে উন্নয়নের মূলস্রোতধারায় সম্পৃক্ত করে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বহুমুখি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতিগুলোর মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণকালে এই মন্তব্য করে ডিসি বলেন, পশ্চাদ পদ নারী সমাজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে নারী উদ্যোক্তা ও সমিতিগুলোকে অনুদানের টাকা ব্যবহারে যত্নবান ও সতর্ক হতে হবে।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নিবন্ধিত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে অনুদানপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি সমূহের মধ্যে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুন, রাঙামাটি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হোসনে আরা বেগমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এর আগে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্তণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি কেন্দ্রীয় ভাবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নিবন্ধিত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে অনুদানপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি সমূহের মধ্যে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুদানের চেক বিতরনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ আরো বলেন, নারী উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ে সরকারের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সরকার কর্তৃক গৃহীত নারী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম/কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তার মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ের মহিলাদের সার্বিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য নিরসন কল্পে এবং তাদেরকে আর্থ-সামাজিক ভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি সমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এতে করে প্রতি বছর দরিদ্র মহিলারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছে। তবে আপনাদের দেয়া অনুদানের টাকা দিয়ে সঠিক কাজ করবেন। এতে করে আস্তে আস্তে হতদরিদ্র মহিলাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেবে। এতে করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টিসব কিছু আস্তে আস্তে বাড়বে এবং বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তেমনী আপনারাও যে যেখানে থাকনে না কেন বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে আপনারাও এগিয়ে যাবেন।