অপহরণের ৯ দিন পর পানছড়ি থেকে অপহৃত ঠিকাদার ও ম্যানেজার উদ্ধার

505

p...3

আল-মামুন, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : খাগড়াছড়ির জেলার পানছড়ি উপজেলা থেকে অপহৃত ঠিকাদার ও ম্যানেজার অবশেষে ৯দিন পর মুক্তি পেয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কর্তৃক উদ্ধার নাকি মুক্তিপন দিয়ে ছাড়া পেয়েছে এ দু’জন তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে জেলা সদরের ভাইবোন ছড়া এলাকা আল-ফালাহ্ ট্রেডিং কর্পোরেশনের অপহৃত ঠিকাদার সাইফুদ্দিন শাহিন গাজী ও ম্যানেজার মো. রুহুল আমিনকে মুক্ত করে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। মুক্ত পাওয়ার পর অপহৃত দু’জনকে খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউজে এনে রাখা হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, পানছড়ি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক ও পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার অপহৃতদের জবানবন্দি নেন । পরে তাদের চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী জানান, নানামুখী চাপের কারণে সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। তবে উদ্ধার নাকি মুক্তপন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে আপাতত এর বেশী কিছু জানানো যাবে না। এদিকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুকুমার দেব (৩৫) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে কলোনীপাড়া এলাকা থেকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এলজিইডির আওতায় পানছড়ি বাজার থেকে মরাটিলা পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজের জন্য স্থানীয় পাহাড়িরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পানছড়ি উপজেলার তালতলা এলাকা থেকে আল-ফালাহ্ ট্রেডিং কর্পোরেশনের ঠিকাদার সাইফুদ্দিন শাহিন গাজী ও ম্যানেজার মো. রুহুল আমিনকে অপহরণ করা হয়।

বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে, তাদের মুক্তিপনের জন্য বিভিন্ন সময় ৫০-২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপন দাবী করা হয় অপহরণকারীদের পক্ষ থেকে।

পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান