॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
কাপ্তাই হ্রদের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এবং হ্রদের কার্প জাতীয় মাছের আধিক্য বাড়ানোর জন্য মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। রোববার (২ মে) সকালে রাঙামাটি ফিসারী ঘাটে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
এসময় দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, আগে কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের জন্য তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধ থাকলেও বেকার হয়ে পড়া জেলেদের কোনও সহযোগিতা করা হতো না। জীবিকার কারণে জেলেদের মাছ আহরণ করতে হতো নিষেধাজ্ঞার সময়টাতেও। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেকার হয়ে পড়া জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন আর জেলেরা চুরি করে মাছ ধরে না, এর ফলে কাপ্তাই হ্রদে বহু বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে। মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন
(বিএফডিসি), রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর আমরা কাপ্তাই হ্রদে ৪০ টন কার্পজাতীয় মাছ অবমুক্তকরণের ক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করেছি। চেষ্টা করবো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ টন বেশি পোনা অবমুক্ত করতে। কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছ কমে যাওয়ার কারণে এ বছর আমরা কার্পজাতীয় মাছের পোনা বেশি অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ সময় মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোঃ আব্দুল লতিফ, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুন, রাঙ্গামাটি বিএফডিসি ব্যবস্তাপক কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমাসহ রাঙ্গামাটি জেলা
প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক প্রজনের পাশাপাশি কার্প জাতীয় মাঝের উৎপদান বৃদ্ধির লক্ষে রাঙ্গামাটি বিএফডিসি নিজস্ব হ্যাচারীতে উৎপাদিত ৫০ মেট্রিক টন মাছের পোনা কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করবে। গতকাল ২ মেট্রিক টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
পরে ১০ জনকে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণের মধ্যদিয়ে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং নিষিদ্ধ জাল পোড়ানো হয়।