স্টাফ রিপোর্টার- ৮ নভেম্বর ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি): নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার ৮ নভেম্বর দুপুরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে বিএনপি। এর আগে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে সোহওয়ার্দী উদ্যানে দুই দফায় অনুমতি চেয়েও তা মেলেনি। পরে এই দিনটিকে কেন্দ্র করে ৮ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনেও অনুমতি চেয়েও পায়নি।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি, গণতান্ত্রিক স্বাভাবিক কর্মসূচি পালন করতে দিন। সাংবিধান লঙ্ঘন করবে না। আমাদের ১৩ নভেম্বর সামাবেশ করার অনুমতি দিন। গণতন্ত্রকে তার নিজস্ব ধারায় চলতে দিন।’ ১৩ তারিখের কর্মসূচির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা পার্টি অফিসের চিত্র ইতিমধ্যে দেখেছেন। মনে হচ্ছে একটি যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। যেমন করা হয়েছিল- ২০১৩, ১৪ এবং ২০১৫ সালে।ওই সময় দলীয় অফিসকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। আমাদের নেতা রুহুল কবির রিজভীকে বন্দি করা হয়েছিল। এখনও দেখে তাই মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দল। সভা সমাবেশ করা আমাদের গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে- আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।’ তিনি বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দলের আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই কেবল রাজনৈতিক সঙ্কটের নিরসন সম্ভব। এমতাবস্থায় সংলাপের কোনো বিকল্প নেই।’ সমাবেশের অনুমতি না পেলে বিএনপি কি করবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা অনমুতি চাইতেই থাকবো। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যদি অনুমতি না পাই তা হলে কর্মসূচির কথা পরে জানাবো।’ সড়কে সমাবেশ নিষিদ্ধ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এমন নির্দেশনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সড়কে যদি সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো কোথায় যাবে? আসলে সরকার একদলীয় শাসন ফিরিয়ে আনতে চাইছে ভিন্ন মোড়কে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করলো। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আলোকসজ্জা করলো। আর অন্যদেরকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।, এটা তো হয় না।’ সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকারের চরিত্রই হলো নিজেদের ক্ষমতাকে পোক্ত করতে অন্যের ওপর দমন নিপীড়ন চালানো। ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের বেশকিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, মো: আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান