বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঞ্চিত মানুষ মুক্তি দিশা পেয়েছিল

297

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঞ্চিত মানুষ মুক্তি দিশা পেয়েছিল, জনতার চোখে মুখে বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াকু মনোভাবন জেগে উঠেছিল। সেদিন বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষ মুক্তি চায় বলে যে মুক্তির দিশা দিয়েছিলেন, পার্বত্যাঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র রেখে সেই মুক্তি সম্ভব না।

বর্তমান সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করলে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল গুলো চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিটি পদে পদে বাঁধা গ্রস্থ করবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন আজ আঞ্চলিক সংগঠন গুলো পার্বত্য এই মাটি ও মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিরোধীতা শুরু করে।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য মানুষের কথা চিন্তা করে পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। মঙ্গলবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষন উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন ।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যাণ্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মমতাজুল হক, জেলা কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ, পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল চাকমা (চাম্পা) পৌর মহিলা আওয়ামীলীগ সম্পাদিকা ও জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শাওয়াল ইদ্দন, শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, যুবলীগ শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক কামাল উদ্দীন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সুলদান মুহাম্মদ বাপ্পা।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল মাওলা।

বক্তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, “বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু”। এই স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লাকে পরাজিত করে ব্রিটিশ বিনিয়ারা এদেশেকে দীর্ঘ আড়াইশো বছর শাসন করেছে।

যুগের আবর্তনে জাতি সমুহের সোচ্চার আন্দোলনের মুখে সেদিন ব্রিটিশরা এদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সেদিন বাঙালী জাতি মনে করেছিলো এবার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। দুঃস্বপ্নের বেড়াজালের এবারও বাঙালী পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শিকলে পতিত হয়।

যার ফলে বাঙালীরা স্বাধীনতার দাবিতে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণভ্যুত্থান ৭০’র নির্বাচন, অবশেষে ৭১’র স্বাধীনতার জন্য মুক্তিকামী বাঙালীরা সর্বস্ব ত্যাগ করে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো।

আজ বাঙালী স্বাধীন জাতি, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে ঠিকে আছে। আর এ বাংলা ও বাঙালীর ইতিহাস যিনি রচয়িতা তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নবাব সিরাজদৌল্লাহ’র পরাজয়ের দিনকে যিনি স্বাধীনতার স্বাধ বাঙলা ও বাঙালীকে প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, যতদিন বাংলা ও বাঙালী থাকবে ততদিন এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বঙ্গবন্ধু আদর্শের, সৈনিক সৃষ্ঠি হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন তথা সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।