বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

84

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পার্বত্যবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর এক শ্রেষ্ঠ উপহার। একে এগিয়ে নিতে সকল মহলের সহযোগীতা এবং আন্তরিকতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমরা শূণ্য থেকে শুরু করেছি এবং এই বিশ্বাবিদ্যালয়কে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই, যাতে গোটা এশিয়াজুড়ে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি লেখনির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা উদ্যোগগুলোকে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সত্য প্রকাশ করতে গেলে অনেক সময় নানা সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়, তবে গণমাধ্যম কর্মীরা এসব সমস্যা মাথায় নিয়েও তাদের লক্ষ্যে ছুটে চলেন বলেই গণতান্ত্রিক সমাজ মজবুত হয়।
রাঙামাটি প্রেসক্লাবের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি সেলিনা আক্তার এই মন্তব্য করেন। রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম (বার), রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তুষার কান্তি বড়–য়া ও রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবির। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব একেএম মকছুদ আহাম্মেদ, সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে ও প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মাহবুব আহামদ। অনুষ্ঠানে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জেলা শহরে দায়িত্ব পালন করা সাংবাদিকরগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি সেলিনা আক্তার আরো বলেন, পাহাড়ের জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। সাংবাদিকরা স্থানীয় উন্নয়নে অনেক বড় অবদান রাখতে পারে। তাদের লিখনীর মাধ্যমে একটি অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরার মাধ্যমে অত্র এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, কখনো হলুদ সাংবাদিকতার আশ্রয় নেয়া যাবে না।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সত্য লিখনীর মাধ্যমে সাংবাদিকরা সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। সাংবাদিকরা মাঠে-ময়দানে যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতিদিন আমাদের সামনে উপস্থাপন করছে সেগুলোর মাধ্যমে আমরা সমাজের প্রকৃতি অবস্থা নিরুপণ করতে পারি।

জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। আর এক্ষেত্রে একসাথে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে সাংবাদিকদেরও। পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের সাথে সহযোগিতা এবং তথ্য আদানপ্রদানের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
এর আগে সকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়।