সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামুলক মাস্ক ব্যবহারে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি

542

॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা (সেকেন্ড ওয়েব) সামলানোর প্রস্তুতি হিসেবে দেশের সকল ধর্মী প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহার বিষয়ে জরুরী নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রোধে অন্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ধর্মীয় উপসনালয়ে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও ‘ইদানীং গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, সারা দেশে বিশেষ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে শৈথিল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোভি’ড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এ শৈথিল্য কাক্সক্ষীত নয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী- মসজিদে সব মুসল্লির মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে প্রবেশের জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে মসজিদের মাইকে প্রচার চালানোর পাশাপাশি এ বিষয়ে মসজিদের ফটকে ব্যানার প্রদর্শন মসজিদ কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে।

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মের অনুসারীরা আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন। মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশের জন্য ফটকে ব্যানার প্রদর্শনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপাসনালয় কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে।

‘নো মাস্ক-নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পোস্টার বা ডিজিটাল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

কিছুক্ষণ পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

দেশের সব মসজিদ ও অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাইকের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে এসব ঘোষণা আবশ্যিকভাবে প্রচার অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।