॥ বান্দরবান প্রতিনিধি॥
বান্দরবান পাবত্য জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের-২,আওতায় মাচাং ঘর উপহার পেয়ে উপজেলার জুড়ে আনন্দের বিরাজ করছে উপজাতি উপকারভোগীরা। সূত্রে জানা গেছে, ১ম পর্যায়ে ঘর ৯০টি, ২য় পর্যায়ে ঘর ১২০টি, ৩য় পর্যায়ে ঘর ১৭৪টি, ৪র্থ পর্যায়ে মাচাং ঘর ৪০টি, সেমি পাকা ঘর ১০টি, মোট ঘর সংখ্যা ৫৩৪টি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী উপহার আশ্রয়ণ ঘর নির্মাণে কাজ উদ্বোধনের আগে সম্পন্ন হবে। এলাকায় ঘুড়ে দেখা গেছে, অনেক ভূমিহীন ও গৃহীনরা ২শতাংশ জমি আশ্রয়ণ ঘর পেয়ে চোখে মুখে আনন্দের বিরাজ করছে।
উপকারভোগী চিং থোয়াই মারমা, অং সাইউ মারমাসহ অনেক উপকারভোগিরা খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘায়ু কামনা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন আমরা ঝরাজীর্ণ ঘরের বসবাস করেছি। বর্তমানে কাঠ ও বাঁশ সমস্যা কারণে নতুন ঘর নির্মাণে জন্য আমাদের সামর্থন ছিলনা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার ঘর পেয়ে আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই পেয়েছি। ঘর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপকারভোগিরা। জানা যায়, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নের যাচাই-বাছাইয়ে মাধ্যমে নির্বাচিত ভূমিহীনদের ১৫০টি ঘরের মধ্যে ১২০টি ঘর নির্মাণে কাজ শেষ হওয়ায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। তার মধ্যে ১নং রোয়াংছড়ি ইউনিয়নে ৪৫টি, ২নং তারাছা ইউনিয়নে ১৯টি, ৩নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়নে ৩৫টি, ৪নং নোয়াপতং ইউনিয়নে ২০টি ঘর নির্মাণে সামগ্রী মানসম্মত হওয়ায় উপজেলা মনিটরিং টিমও ঘর দেখে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন আগামী ২২মার্চ সারাদেশে ন্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে ৪টি ইউনিয়নে ঘর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১২০টি মাচাং ঘর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পর ঘর ও দলিল উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ আশ্রয়ণ-২, প্রকল্পের ঘরটি টেকসই ও গুণগত মানের নির্মাণ সামগ্রী মানসম্মত বজায় রেখে ঘর তৈরী করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং দল মাঠে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ১৫০টি মধ্যে ১২০টি ঘর নির্মাণে কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং বাকি ৩০টি ঘর চলতি মাসের নির্মাণে কাজ শেষ হবে।
