॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের উপাদান বিড়ির উপর ট্যাক্স কমানোর দাবি ও ভোক্তা অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে বৃহত্তর বিড়ি ভোক্তা পক্ষ রাঙামাটি অঞ্চলের উদ্যেগে এক মানববন্ধন রোববার (১২মে) রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব সংলগ্ন চট্টগ্রাম-রাঙামাটি প্রধান সড়কের পাশে ঘন্টাব্যপী এ মানববন্ধনে, স্থানীয় বিড়ি শ্রমিক, মানবাধিকার কর্মী, সাধারণ দিনমজুর তথা বিড়ি ভোক্তারা অংশ গ্রহণ করে। এ সময় তারা মেহনতি মানুষের সাথী বিড়ির উপর অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপ না করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
মোঃ বকুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও ইব্রাহীম মিয়ার পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি ভোক্তা শ্রমিক সভাপতি মোঃ রিপন মিয়া। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিড়ি মেহনতি মানুষের অনুসঙ্গ, কাজেই বিড়ির উপর করারোপ করা হলে তা খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বাড়ায়। তাই ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বিড়ির উপর অতিরিক্ত কর আরোপ না করে বরং কর কমানোর জন্য তিনি সরকারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সুভাষ, জগদিশ, স্বপন দাশ, জামশেদ, দুলাল মিয়া, লেদু মিয়া, নুর কামাল, আকবর আলীসহ অন্যান্য শ্রমকিরা এ সময় তাদের ভাষায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেন।
বক্তারা আরো বলেন, প্রতিবছর বাজেট আসলে আমাদের মত বিড়ি ধূমপায়ীদের আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়। আর সে আন্দোলন সিগারেটের বিরুদ্ধে। কারণ আমাদের দেশে বাজেট আসলে কিছু আমলা প্রতিবছর ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর কাছে বিক্রি হয়ে যায় আর সিগারেটের কর কমিয়ে বিড়ির উপর অতিরিক্ত কর বাড়িয়ে বিড়ি শিল্পকে বন্ধ করতে দিতে চান। তাই এই মানববন্ধনে আপনাদের মাধ্যমে বিএটিএর দালালদের হুশিয়ার করে দিতে চাই আপনাদের এই স্বপ্ন কোনদিনও পুরণ হবেনা। কারণ এই বিড়ি শিল্পে দেশের খেটে খাওয়া গরীব দুখি মেহনতী মানুষ জড়িত যাদের পাশে বঙ্গবন্ধু ছিল এবং তার সুযোগ্যকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯অর্থ বছরে বাজেট অধিবেশনে বলেছিলেন বিড়ির উপর কোন ট্যাক্স বাড়ানো হবেনা বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণা করতে হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন চাই। সাথে সাথে বহুজাতিক কোম্পানির বিএটির বেনসন সহ সকল সিগারেটের কর বৃদ্ধির জোর দাবি জানাচ্ছি।