বাঘাইছড়িতে সরকারি অফিসে ঢুকে ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা

895

এবার সরকারি অফিসে ঢুকে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করা হয়েছে এক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের নেতা ও ইউপি সদস্যকে। বুধবার দুপুর ১টা দিকের বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে গুলি করা হয় এই ইউপি সদস্যকে। বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করায় তিনি সাথে সাথেই মারা যান।
নিহত সমর বিজয় চাকমা (৩৮) উপজেলার রূপকারি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এমএন লারমা গ্রুপের সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছিলেন।

রাঙামাটিতে এই প্রথমবারের মতো কাউকে সরকারি অফিসে ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হলো।
গুলির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন বাঘাইছড়ির প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরনবী সরকার। ঘটনার আকস্মিকতায় হত বিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। পিআইও নুরনবী জানান, ‘ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমা আমার কক্ষে বসে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় দুই-তিনজন লোক দরজার বাইরে উঁকি দিচ্ছিল। আকস্মিকভাবে তাদের একজন রুমে ঢুকে সমর বিজয়ের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেই দ্রুত অফিস ত্যাগ করে।”

বাঘাইছড়ি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন খান বলেন, খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং ইউপি সদস্যের গুলিবিদ্ধ লাশ চেয়ারেই পড়ে থাকতে দেখেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, তিনরুম পরেই আমার কক্ষ; ঘটনার সময় আমি কক্ষেই ছিলাম। অন্যদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি হত্যাকারীরা মোটরসাইকেলে করে এসেছিল। গুলির পরপরই তারা বাইকে করে পালিয়ে যায়। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

এদিক বাঘাইড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেএসএস (এমএনলারমা) গ্রুপের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক সুদর্শন চাকমা এই হত্যাকান্ডের জন্য জেএসএস সন্তু লারমা গ্রুপকে দায়ী করেছেন। তিনি খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।

তবে এ অভিযোগের বিষয়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির কারও বক্তব্য জানা যায়নি।