॥ লীটন শীল ॥
জুম চাষের সাথে সখের বসে ফুল চাষ করতেন জুমিয়া নারী রাণী চাকমা। চাষ করতে করতেই এক সময় তার অনেক ফুল হয়। তিনি কৌতহোল বসত তা অন্যান্য সবজির সাথে বাজারে নিয়ে আসেন। এরপরই তার চোখ খুলে যায়। রাঙামাটি স্থানীয় কাঁচা বাজারে তার ফুলের বেশ কদর। দামও ভালো, চাহিদাও ব্যাপক। এই দেখে তিনি বাণিজ্যিক মানসিকতা নিয়েই জুমের সাথে ফুল চাষ করেন। এক সময় দেখতে পান সবজির চেয়ে তার ফুল বিক্রিতে মুনাফা বেশি। তার দেখাদেখি এখন অন্যরাও জুমে ফুল চাষ শুরু করেছে।
রাঙামাটির বিভিন্ন পাহাড়ের ঢালে এখন চাষের জমিতে শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষও শুরু হয়েছে। পাহাড়ের ঢালে গড়ে তোলা শাক-সবজি চাষের পাশাপাশি ফুলের বাগানে শোভা পাচ্ছে গাঁদাসহ আরও কয়েক ধরনের ফুল। আর এ চাষ লাভজনক হওয়ায় স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন বেশ কয়েকজন ফুলচাষি নারী।
রাঙামাটির সদর উপজেলার বড়আদাম এলাকার সবজি ও ফুল বিক্রেতা আদর্শ রানী চাকমা জানান, ছোট বেলা থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে জমিতে ও পাহাড়ে জুম চাষের পাশাপাশি ফুল চাষ করতেন তিনি। সপ্তাহের দুই দিনের বাজারে সবজি ও ফুল বিক্রী করতে থাকি। দিন দিন মানুষের কাছে ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগ্রহ আরও বেড়ে যায় আমার।
এখন এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় অনেকেই ফুল কেনার জন্য বাগানে আসেন। তিনি বলেন, পাহাড়ে লাভজনক ফুল চাষের ব্যাপক সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ছবিটি ৭ নভেম্বর (বুধবার) সকালে তবলছড়ি বাজারে ফুল বেচতে এলে সাংবাদিকদের দেখে আগ্রহভরেই ছবি তুলেন এবং অন্যদের এই চাষে উদ্বুদ্ধ করেন।