কাউখালীতে বালাইমুক্ত ইরি-এগ্রো প্রকল্পে আনুষ্ঠানিকভাবে নমুনা শস্য কর্তন

312

॥ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ॥

রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) তত্বাবধানে কম সময়ে অধিক ফলন ও রোগ-বালাইমুক্ত ইরি- এগ্রো প্রকল্পের প্রদর্শনী চাষের নমুনা শস্য কর্তন করা হয়েছে।

সোমবার ( ১৬ মে) উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব লুঙ্গি পাড়া স্থানীয় কৃষাণী থুইশ্যাংমা মারমা এবং সুইক্লিকিং এর জমিতে এই শস্য কর্তন করা হয়। বিল্ড এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে

এগ্রিবিজনেস এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় এবার পূর্ব লুঙ্গি পাড়া গ্রামে, কম সময়ে অধিক ফলন, রোগবালাই মুক্ত নতুন ৬ ধরনের ধান, ব্রি ধান-৭৪, ব্রি ধান-৮৮, ব্রি ধান-৮৪, ব্রি ধান-৯৬, বঙ্গবন্ধু ধান – ১০০ ও চাক্কা পাঞ্জা জাতের প্রদর্শনী ধান চাষ করা হয়।

পূর্ব লুঙ্গি পাড়া গ্রামের স্থানীয় কৃষাণী থুইশ্যাংমা মারমা এবং সুইক্লিকিং বঙ্গবন্ধু ধান – ১০০,ব্রি ধান-৭৪ ও ব্রি ধান-৯৬ জাত চাষ পছন্দ করেন। চলতি মৌসুমে ভালো ফলন পাওয়ায়, আগামী বোরো মৌসুমে এই জাতের ধান অধিক পরিমান জমিতে চাষ করবেন বলে জানান।

পাহাডি় অঞ্চলে ‘আন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) পরীক্ষা মূলকভাবে জলবায়ু উপযোগী আধুনিক উচ্চ ফলনশীল (উফসি) জাতের ধান প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে ৬টি আগাম জাতের ধান হেড টু হেড প্রদর্শনী করা হয় । এসব ধানের জীবনকাল গড়ে ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন।

আন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) এর বাস্তবায়নাধীন নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাউচিং মারমা, এগ্রিবিজনেস এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল এর প্রজেক্ট অফিসার বাগী মং মারমা সহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অন্যান্য কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন । নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহাড়ি় অঞ্চলে এই সব প্রদর্শনী করার জন্যে আন্তজার্তিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি) এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে আবারো এই ধরনের প্রদর্শনী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উল্লেখ্য, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলাতেও ৬ ধরনের ধান, ব্রি ধান-৭৪, ব্রি ধান-৮৮, ব্রি ধান-৮৪, ব্রি ধান-৯৬, বঙ্গবন্ধু ধান – ১০০ ও চাক্কা পাঞ্জা জাতের প্রদর্শনী ধান চাষ করা হয় এবং শস্য কর্তন করা হয়।